প্রথম পর্বের লিঙ্ক এখানেঃ
Click This Link
হোটেল ভাড়া নিয়ে কিছু বলিঃ
মাঝারি মানের হোটেলে রূম ভাড়া পড়বেঃ
ডাবল বেডঃ৪০০-৫০০
সিঙ্গেল বেডঃ ৩০০
৩ বেডেরঃ ৮০০ /-
এইরকম আর কি।
খাবারঃ
প্রতি বেলায় ১৫০/- এর মত লাগবে।আর বেড়াতে গেলে তো কিনেই নিবেন।তাই না????খাবারের কিছু ভাল জায়গা আছে যগুলো বিখ্যাত।পরে সে আলোচনায় যাব।
যাই হোক,আমরা আবার ট্যুরিস্ট স্পট নিয়ে কথা বলি।
মাধবকুন্ড জলপ্রপাতঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে সুন্দর আর বড় ঝরনা বলা হয় মাধবকুন্ড জলপ্রপাতকে।প্রকৃতি কত সুন্দর ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করতে পারে তার উজ্জ্বল নিদর্শন হিসেবে যুগ যুগ ধরে মানুষকে বিমোহিত করে আসছে সে।
যাতায়াতঃ
মাইক্রোবাস ভাড়াঃ(১১ জনের)=৩৫০০-৪০০০/-
সিএনজি ভাড়াঃ ১৫০০-১৮০০/-(৫ জন)
খাবারঃ প্রতি জন ১৫০-২০০/- (স্পট থেকে কিছু না কেনাই ভাল)
পার্কিং এ গাড়ি রেখে টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকতে হবে।যতই ঢুকবেন ততই একটু একটু করে গর্জন কানে আসবে প্রপাতের।
এরপর গোসল করতে পারেন।(মেয়েদের চেঞ্জের ব্যবস্থা নাই)।
এখানে একটি বিষয় বলি,অনেকে প্রপাতের পাশ দিয়ে পাহাড়ের গায়ে সরূ একটা রাস্তা চলে গিয়েছে উপরে যেখান থেকে পানি পড়ে,সেখানে যেতে চায়।আমিও প্রথম বার গিয়ে উঠেছিলাম।উঠলে অখান থেকে কিছুদুর গেলে সারি সারি কমলা গাছের সারি।আদিবাসী দেখবেন দা-বল্লম নিয়ে বাগান পাহাড়া দেয়।
বিঃদ্রঃ প্রতি মৌসুমে পাহাড় বেয়ে উঠতে গিয়ে মানুষজন মারা যাবার ঘটনা ঘটে।
সুতরাং-
-পাহাড়ে উঠার চেষ্টা না করাই ভাল।রিস্ক নিতে চাইলে অন্য কথা।
-গোসল করতে নামলে ঝর্নার কাছাকাছি যাবেন না।তাহলে কয়েক শত টন পানির বাড়ি খেয়ে ছাতু হয়ে যাবেন।সর্বদাই সিকিউরিটি লোক থাকে সেখানে।তবে সাবধানের মার নাই।তাই না???
গোসল টোসল শেষ হলে দেখবেন একটা টাওয়ার আছে পিছনের দিকে। ওখানে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ,গল্প স্বল্পের পাশাপাশি খেয়ে নিতে পারেন।
শ্রীমঙ্গলঃ(চা বাগান,লাউয়াছড়া,৭ রঙ এর চা)
আর একটি অসাধারন প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি হল শ্রীমঙ্গল।অসাধারণ কিছু স্পট আছে এখানে।চোখ জুড়িয়ে যাবে কিন্তু প্রাণ ভরবে না নিশ্চিত।
যাতায়াতঃ
ট্রেনঃ
মাজার গেট থেকে রেল স্টেশনে যেতে হবে।এলাকাটার নাম কদমতলী। ভোর ৬.৩০ এ ট্রেন ছাড়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে।ঐ ট্রেন ধরে যাবেন শ্রীমঙ্গল।২ ঘন্টা লাগবে।ভাড়া ৭০ টাকা।
বাসঃ
কদমতলী যাবেন।ঐখান থেকে বাস ছাড়ে সবসময় শ্রীমঙ্গলের উদ্দেশ্যে।ভাড়া ৭০ টাকা।
তাড়াতাড়ি যাবেন ।নাহয় ঘুরে শেষ করতে পারবেন না।
মাইক্রোবাসঃ
৩৫০০-৪০০০/-
সিএনজিঃ
১৫০০-১৮০০/-
যাই হোক,গিয়ে নামবেন স্টেশনে।যদি মাইক্রো কিংবা গাড়ির ব্যাবস্থা না করে ট্রেন কিংবা বাসে যান তবে নামার পড়ে রিকশা নিবেন। গন্তব্য বিটিআরআই চা বাগান।
যাবার পথে চোখে পড়বে চোখ জুড়ানো চা বাগান।মনে হবে গিয়ে শুয়ে থাকি।
যাবার পর গেটে নাম টাম লিখতে হয়।এরপর ভিতরে যাবেন।পটাতে পারলে কিছু টাকা পয়সা দিয়ে কারখানার ভিতরে ঢুকবেন কিভাবে চা বানায় দেখতে।
এরপর বের হবেন।অইখানে রাবার বাগান নামে একটা জায়গা আছে।অসাধারণ সুন্দর।পারলে ঘুরে আসবেন।না হলে মিস করবেন নিশ্চিত।তবে মানুষ কম হলে না যাওয়াই ভালো।
এরপর অখান থেকে নিজস্ব গাড়ি নিয়ে গেলে গাড়ি করে চলে যাবেন লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান।স্বনাম ধইন্য এই উদ্যান আপনাকে স্বাগতম জানাবে তার বিপুল সৌন্দর্য ও রহস্যময়তা নিয়ে।
টিকেট কেটে ভিতরে ঢুকে হাটা পথে কিছুদূর হাটবেন।এরপর দেখবেন একটা দোকান যেখানে গাইড পাবেন। লাউয়া ছড়ায় আপনি পাবেন আজানা সব গাছের সমাহার।
বনের মধ্যে হাটার জন্য ৩ টি রূট আছে।১ ঘন্টার,২ ঘন্টার ,৪-৫ ঘন্টার।আপনার সময়ের উপর ভিত্তি করে আপনি রূট সিলেক্ট করে গাইড নিয়ে হারিয়ে যান গহীন অরণ্যে।গাইডকে ১৫০-২০০ টাকা ধরিয়ে দিলেই চলবে।কপাল ভালো থাকলে বনবেড়াল,কিংবা অজগর পেয়ে যেতে পারেন চলতি পথে।
এরপর ফেরা।কোথায়???? ৭ রং এর চা খাবেন না????
গাড়ি নিয়ে না আসলে সমস্যা নেই।গেটে দাড়ালেই একটু পরে বাস বা লেগুনা পাবেন।সোজা চলে যান স্টেশনে যেখানে নেমেছেন।রিকশাকে বলবেন বিডিয়ার নীলকন্ঠে নিতে।
হাটা পথে কিংবা রিকশায় ১০-১৫ টাকা নিবে নীলকণ্ঠ চা এর দোকান।এই সেই বিখ্যাত চা এর দোকান যেখানে ৭ রং এর চা পাওয়া যায়!!!
আরো একটা দোকান আছে বটে,কিন্তু বিডিয়ার এলাকায় বলে এইটা ভালো ও ঝামেলামুক্ত।আয়েশ করে চা খান।
এরপর ট্রেন ধরতে চাইলে ৭ টার ভিতরে স্টেশনে যান।বাসে গেলে তাড়া নেই।রাত ৯ টা পর্যন্ত সিলেট কিংবা ঢাকাগামী বাস পাবেন।
ও হ্যা,একটা কথা ভুলে গেছি।সিতেশ বাবুর চড়িয়াখানা নামে একটা চিড়িয়া খানা নামে একটা চিড়িয়া খানা আছে কাছেই।দুষ্প্রাপ্য সাদা চিতা,উটপাখি সহ অনেক প্রাণী দেখতে পাবেন।নিশ্চিত মিরপুর চিড়িয়াখানার থেকে ভাল লাগবে।
জাফলঙঃ
সিলেটের সর্বাধিক পরিচিত স্পট হল জাফলং।প্রকৃতি নিজ হাতে সাজিয়েছে জাফলংকে নিজের মত কোড়ে।মেঘালয় পাহাড়,মেঘ,টল্টলে পানির লেক,পাথর আর সাদা বালু আপনাকে স্বাগতম জানাবে। বাংলাদেশের সেরা রাস্তা মনে হয়য় এটাই।রাস্তায় যেতে যেতে চা বাগান,পাহাড় ,জল্প্রপাত আর কি চাই???!!!
মাজারগেট থেকে মাইক্রোবাস ভাড়াঃ
২৫০০-৩০০০ /-(রাত পর্যন্ত থাকবে)
সিএনজি ভাড়াঃ
১০০০-১২০০/-(৫ জন যেতে পারবেন)
জাফলং এর পথে শ্রীপুর পড়ে।আর একটি সুন্দর জায়গা। পরে আলোচনা করতেছি এইটা নিয়ে।
জাফলং গিয়ে গেট দিয়ে ঢুকবেন।দেখবেন আপনার সামনে কি অসাধারন সৌন্দর্য আপেক্ষা করছে।নৌকা ভাড়া ১৫০/-।
ওপাড়ে খাসিয়া পাড়ায় অবশ্যই যাবেন মনে করে। খালের ওপাড় থেকে খাসিয়া পাড়ায় যেতে রিকশা ভাড়াঃ ১০০/-
রিকশাই বেস্ট এখানে।খাসিয়া রাজার বাড়ি,জমিদারের বাড়ি দেখতে পাবেন। কমলা বাগান , পানের বাগান দেখতে পাবেন। একজায়গায় গিয়ে থামাবে।ঐ খান থেকে মধু কিনবেন না খবরদার।ভেজাল। চা বাগান ঘুরে এসে পড়বেন।
জিরো পন্টে যাবেন। সাতা র না জানলে হাটু পানির বেশী পানিতে নামবেন না।
গোসল করতে অবশ্যই শর্টস ,টাওয়েল নিয়ে যাবেন।মেয়েদের চেঞ্জের কোন ব্যাবস্থা নাই মাথায় রাখবেন।
সন্ধাটা উপভোগ করবেন ওখানে।পথের মধ্যে অনেক অসাধারন জিনিস ও দৃশ্য দেখতে পাবেন।
এরপর ফেরার পালা।(চলবে)
এরপর কিছু অসাধারণ স্পট বলবো যেখানে মানুষের যাওয়া কম হয় কিছুটা।সাথে একটা বাজেট এস্টিমেসন দিব।সাথে থাকুন।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে আগস্ট, ২০১১ রাত ২:৪৯